অনেক মেয়েরা একটা স্বাস্থ্য সমস্যা হয়, যেটার নাম PCOD (পলিসিস্টিক ওভারি ডিজঅর্ডার)। এটা হলে শরীরের হরমোনে একটু গোলমাল হয়। তখন অনেক মেয়ের শরীর ভারী হয়ে যায়, চুল পড়ে যায়, বা মাসিক ঠিকমতো হয় না।
🥦 তাই আমাদের খাওয়াদাওয়ায় কিছু সাবধানে থাকতে হয়। এখন চলো, আমরা জেনে নেই — PCOD হলে কী কী খাবো না!
PCOD হলে কী কী খাওয়া যাবে না?
🚫 যেগুলো খাওয়া যাবে না
- 🍫 মিষ্টি আর চিনি
- 🍞 সাদা পাউরুটি, সাদা ভাত
- 🍟 ফাস্ট ফুড
- 🧂 বেশি নোনতা খাবার
- 🥩 প্রসেসড মাংস
১. মিষ্টি আর চিনি কেন খারাপ PCOD-এর জন্য?
আমরা অনেকেই মিষ্টি খেতে ভালোবাসি — যেমন:
- চকোলেট 🍫
- ক্যান্ডি 🍬
- আইসক্রিম 🍦
- কোক বা কোমল পানীয় 🥤
- রসগোল্লা, লাড্ডু, জিলাপি 😋
কিন্তু PCOD থাকলে এগুলো বেশি খাওয়া একদম ঠিক না। কারণ কী?
PCOD হলে কী কী খাওয়া যাবে না?
⚠️ চিনি খেলে কী হয়?
- শরীরের ভেতরে ইনসুলিন নামের একটি জিনিস কাজ করে।
- বেশি চিনি খেলে ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
- তখন শরীরে হরমোনের গোলমাল হয়, মাসিক ঠিক হয় না।
- শরীরে চর্বি জমে যায়, ওজন বাড়ে, যা PCOD-এর সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।
২. সাদা পাউরুটি, সাদা ভাত — খেতে মজা, কিন্তু PCOD-এ সাবধান!
সাদা পাউরুটি আর সাদা ভাত আমরা অনেকেই খাই। সকালে পাউরুটি, দুপুরে সাদা ভাত — একদম অভ্যাস হয়ে গেছে, তাই না? কিন্তু যাদের PCOD আছে, তাদের জন্য এই খাবারগুলো বেশি খাওয়া ঠিক না।
⚠️ কেন খারাপ?
- এই খাবারগুলোতে ফাইবার খুব কম থাকে।
- খাওয়ার পর এগুলো রক্তে চিনির পরিমাণ হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয়।
- এতে শরীরের ইনসুলিন বেড়ে যায় — আর ইনসুলিন বেড়ে গেলে PCOD-এর সমস্যা বাড়ে।
- ওজনও দ্রুত বাড়তে থাকে।
PCOD হলে কী কী খাওয়া যাবে না?
৩. ফাস্ট ফুড মানেই মজা? না, সব সময় না! (PCOD-এ হলে একদম না)
ফাস্ট ফুড মানে আমরা যা বুঝি:
- বার্গার 🍔
- ফ্রেঞ্চ ফ্রাই 🍟
- চিপস 🥔
- পিজ্জা 🍕
- নুডলস 🍜
- হট ডগ 🌭
সবই খেতে মজা লাগে। কিন্তু যাদের PCOD আছে, তাদের জন্য এগুলো একদম ঠিক না।
⚠️ কেন খারাপ ফাস্ট ফুড?
- অনেক তেল ও চর্বি থাকে
– এগুলো শরীরে চর্বি জমায়, ওজন বাড়ায়। - বেশি লবণ থাকে
– বেশি লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা শরীরের জন্য ভালো না। - চিন্তা বাড়ায়
– অনেক সময় ফাস্ট ফুড খাওয়ার পর মন খারাপ লাগে বা অস্থির লাগে। - হরমোনে গোলমাল করে
– ফাস্ট ফুড শরীরের হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট করে দেয়, যেটা PCOD-এর মূল সমস্যা।
PCOD হলে কী কী খাওয়া যাবে না?
৪. বেশি নোনতা খাবার – স্বাদে মজা, কিন্তু শরীর বলে না
নোনতা খাবার মানে যেগুলোতে অনেক লবণ থাকে। যেমন:
- চিপস 🥔
- ইনস্ট্যান্ট নুডলস 🍜
- প্যাকেটের চানাচুর বা ভাজা খাবার
- প্রক্রিয়াজাত খাবার (যেমন হ্যাম, সসেজ)
- আচার 🥫
এই খাবারগুলো খেতে মজা লাগলেও, যাদের PCOD আছে, তাদের জন্য খুবই খারাপ।
⚠️ কেন বেশি নোনতা খাবার খাওয়া ঠিক না?
- লবণ শরীরে পানি আটকে রাখে
– এতে পেট ফোলা লাগে, আর ওজনও বাড়ে। - রক্তচাপ বাড়ায়
– বেশি লবণ ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেয়, যা PCOD-এ সমস্যার কারণ হতে পারে। - হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে
– অনেক বেশি নোনতা ও প্যাকেটজাত খাবারে কেমিক্যাল থাকে, যা শরীরের হরমোন ব্যালান্স ঠিক রাখে না।
৫. প্রসেসড মাংস — দেখতে মজার, কিন্তু শরীরের জন্য বাজে!
প্রসেসড মাংস মানে যেসব মাংস ফ্যাক্টরিতে কেমিক্যাল আর সংরক্ষণের জন্য প্রক্রিয়া করা হয়।
🎯 যেমন:
- সসেজ 🌭
- হ্যাম 🥓
- সালামি
- বার্গার প্যাটি 🍔
- হট ডগ
⚠️ কেন প্রসেসড মাংস খাওয়া ঠিক না?
- অনেক কেমিক্যাল থাকে
– শরীরের হরমোন ব্যালান্স নষ্ট করে। - অতিরিক্ত চর্বি আর লবণ থাকে
– ওজন বাড়ায়, ইনসুলিন বেড়ে যায়। - লং টাইমে সমস্যা করে
– এই খাবারগুলো বেশি খেলে পেট খারাপ, রক্তচাপ, এমনকি ভবিষ্যতে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য রাতের খাবার পরিকল্পনা ২০২৫
পিরিয়ডের জন্য সেরা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ২০২৫
গর্ভবতী মেয়েদের খাবার: সহজ ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি
তাহলে কী খাবো?

- সবজি, ফল
- বাদাম ও ডাল
- মাছ
- দুধ ও দই
- প্রচুর পানি
১. সবজি আর ফল – প্রকৃতির উপহার, শরীরের জন্য দারুন উপকার
কেন ভালো সবজি আর ফল?
- ভিটামিন ও ফাইবারে ভরা
– শরীর পরিষ্কার রাখে, পেট পরিষ্কার থাকে - চিনি কম, পুষ্টি বেশি
– ফলের চিনি প্রাকৃতিক, তাই রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকে - হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে
– সবজি-ফল খেলে শরীরের হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে, PCOD কমে যায়। - ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
– সবজি আর ফল খেলেও পেট ভরে, কিন্তু চর্বি বাড়ে না।
🌿 কোন ফল আর সবজি খাওয়া ভালো? (PCOD-এ উপকারী)
| সবজি | ফল |
|---|---|
| ঢেঁড়স – হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে, ডাইজেশন ভালো রাখে | আপেল – হজমে সাহায্য করে, ফাইবার অনেক |
| করলা – রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে, পেট পরিষ্কার রাখে | কলা – পটাশিয়াম এবং শক্তি প্রদান করে |
| লাউ – শরীরের টক্সিন বের করে, হরমোন ভারসাম্য রাখে | কমলা – ভিটামিন C-এর ভাল উৎস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় |
| শিম – ফাইবার এবং প্রোটিনে ভরপুর, পেট পরিষ্কার রাখে | পেয়ারা – ফাইবার দিয়ে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে |
| পালং শাক – আয়রন এবং ভিটামিনে পূর্ণ | স্ট্রবেরি – অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ, শরীরের টক্সিন বের করে দেয় |
| গাজর – অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, চোখের জন্য ভালো | আঙ্গুর – ভিটামিন এবং হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে |
PCOD হলে কী কী খাওয়া যাবে না?
২. বাদাম ও ডাল – PCOD-এ উপকারী
| বাদাম | ডাল |
|---|---|
| বদাম (আলমন্ড) – প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন E-এ পূর্ণ, যা হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে | মসুর ডাল – প্রোটিন এবং ফাইবারে পূর্ণ, হরমোনের ভারসাম্য রাখে, শরীরকে শক্তিশালী করে |
| কাজু – প্রোটিন এবং ভালো চর্বির উৎস, যা শক্তি দেয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে | তুড়ি ডাল – হরমোনের জন্য ভালো, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় |
| পেস্তা – আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন B6-এ পূর্ণ, শরীরের শক্তি বাড়ায় | চানা ডাল – ফাইবার এবং প্রোটিনে পূর্ণ, পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে |
| আখরোট – অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো | মুগ ডাল – হালকা, পেটের জন্য উপকারী, ডাইজেশন ভালো রাখে |
| কুমড়োর বীজ – স্বাস্থ্যকর চর্বি, আয়রন এবং ফাইবার, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে | লাল ডাল – শরীরকে শক্তি দেয় এবং হরমোনের কার্যকারিতা উন্নত করে |
৩. মাছ – PCOD-এ কেন খাওয়া ভালো?
মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। PCOD থাকলে মাছ খাওয়া বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এতে প্রচুর প্রোটিন, ভাল চর্বি (ওমেগা-৩), এবং নানা ধরনের ভিটামিন থাকে, যা শরীরকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখে।
মাছ খাওয়ার উপকারিতা:
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড – মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা-৩, যা হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- প্রোটিন – মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস, যা শরীরকে শক্তিশালী করে এবং মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে।
- ভিটামিন D – মাছের মধ্যে ভিটামিন D থাকে, যা হরমোনের স্তর ঠিক রাখতে সহায়ক।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট – মাছের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
| মাছের ধরন | উপকারিতা |
|---|---|
| স্যালমন – ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পূর্ণ, হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে | হরমোনের ভারসাম্য, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে |
| টুনা – প্রোটিন এবং ভিটামিন D-এর ভাল উৎস | শক্তি বৃদ্ধি, হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে |
| রুই মাছ – প্রোটিন এবং আয়রনে ভরপুর | পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, শক্তি দেয় |
| মাগুর মাছ – অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ | হজমের জন্য ভালো, শরীরের টক্সিন পরিষ্কার করে |
| পাঙ্গাস মাছ – হালকা, সহজে হজম হয় | হরমোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে, শক্তি প্রদান করে |
৪. দুধ ও দই – PCOD-এ কেন খাওয়া ভালো?
দুধ ও দই হল প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, এবং ভিটামিনের ভালো উৎস, যা আমাদের শরীরকে শক্তিশালী রাখে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এগুলো বিশেষ করে PCOD-এ অত্যন্ত উপকারী।
দুধ ও দই-এর উপকারিতা:
- ক্যালসিয়াম – দুধ ও দই ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস, যা হাড় এবং হরমোন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখে।
- প্রোটিন – দুধ ও দই শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে।
- প্রোবায়োটিকস – দইতে প্রোবায়োটিকস থাকে, যা হজমের জন্য ভালো এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
- ভিটামিন D – দুধে ভিটামিন D থাকে, যা শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে এবং হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
দুধ ও দই খাওয়ার উপকারিতার তালিকা:
| খাবার | উপকারিতা |
|---|---|
| দুধ | ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন D-এ পূর্ণ। হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। |
| দই | প্রোবায়োটিকস, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম-এ ভরপুর। হজমে সহায়ক, পেট পরিষ্কার রাখে। |
| পানি ও দই | পেট ঠান্ডা রাখে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। |
| ঘরে তৈরি দই | স্বাভাবিক প্রোবায়োটিকস, হজম ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের টক্সিন বের করে দেয়। |
| দুধের শেক | শক্তি বাড়ায়, হরমোনের ভারসাম্য রাখে। |
৫. প্রচুর পানি – PCOD-এ কেন খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ?
পানি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যাদের PCOD আছে, তাদের জন্য পানি খাওয়া বিশেষভাবে উপকারী। পানি শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, বরং শরীরের টক্সিন বের করে দেয়, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং ডাইজেশন ভালো রাখে।
পানির উপকারিতা:
- হরমোনের ভারসাম্য রাখে
– পানি শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়, যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। - হজমে সাহায্য করে
– প্রচুর পানি পানের ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পেট পরিষ্কার থাকে। - ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
– পানি পান করলে খাবারের পরিমাণ কম খেতে ইচ্ছা হয়, ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি প্রবাহ রোধ হয়। - ত্বক সুন্দর রাখে
– পর্যাপ্ত পানি খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে, এবং PCOD-এর কারণে হওয়া ত্বকের সমস্যা কমে। - ডিটক্সিফিকেশন
– পানি শরীরের জমে থাকা দূষিত পদার্থগুলো বের করে দেয়, ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
পানির পরিমাণ:
| পানির পরিমাণ | উপকারিতা |
|---|---|
| ৮-১০ গ্লাস পানি | প্রতিদিন খেলে শরীর ডিটক্স হবে এবং হরমোন সঠিকভাবে কাজ করবে। |
| খাবারের আগে পানি | খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং হজম ভালো রাখে। |
| শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ | পানি শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে, অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা করে। |
| কাজের মাঝে পানি পান | মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে এবং শক্তি বাড়ায়। |
শেষ কথা:
PCOD হলে মন খারাপ করার কিছু নেই। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম আর পর্যাপ্ত ঘুম — এগুলো করলে শরীর ভালো থাকবে। আর অবশ্যই মেয়েদের সাহসী আর স্বাস্থ্যবান হয়ে বড় হতে হবে!
PCOD কী?
PCOD (Polycystic Ovarian Disease) হলো একটি অসুখ, যেখানে মেয়েদের ডিম্বাণু তৈরি ঠিকমতো হয় না এবং হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়। এতে মাসিক অনিয়ম, ব্রণ, ওজন বাড়া ইত্যাদি সমস্যা হয়।
PCOD-এ কিছু খাবার কেন খাওয়া যাবে না?
কিছু খাবার শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, ইনসুলিন বাড়ায় এবং ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই কিছু খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
মিষ্টি ও চিনি কেন খাওয়া যাবে না?
চিনি বেশি খেলে রক্তে ইনসুলিন বেড়ে যায়, যা PCOD-এর সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
সাদা ভাত আর পাউরুটি কেন খাওয়া ঠিক না?
এই খাবারগুলো দ্রুত রক্তে চিনি বাড়ায়, যা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
ফাস্ট ফুড কেন খারাপ PCOD-এর জন্য?
ফাস্ট ফুডে থাকে বেশি তেল, লবণ ও কেমিক্যাল—যা শরীরের ক্ষতি করে এবং হরমোন গুলিয়ে ফেলে।
দুধ ও দই কি খাওয়া যাবে না?
কম ফ্যাটের দুধ বা দই খাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত চিনি বা ফ্লেভার দেওয়া দই এড়িয়ে চলা ভালো।
দিনে কতটা পানি খাওয়া উচিত?
প্রতিদিন অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। এতে শরীর পরিষ্কার থাকে এবং হরমোন ঠিকভাবে কাজ করে।





